বাংলা এবং মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমিয়াকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দানের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
October 03rd, 09:38 pm
২০০৪ সালের ১২ অক্টোবর ভারত সরকার ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসেবে একটি ভাষাবর্গ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সেইসময় তামিলকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তখন বলা হয়, ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে চিহ্নিত হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ভাষাকে অন্তত ১০০০ বছরের পুরনো হতে হবে। ওই ভাষায় প্রাচীন সাহিত্যের নিদর্শন থাকতে হবে যা হবে সম্পূর্ণভাবে স্বকীয়। ২০০৪-এর নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক সাহিত্য অ্যাকাডেমির আওতায় একটি ভাষা বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় বিষয়গুলিতে কিছুটা পরিমার্জন করা হয় ২০০৫-এর নভেম্বরে। তখন বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ভাষাটি অন্তত ১৫০০-২০০০ বছরের পুরনো হতে হবে, সংশ্লিষ্ট ভাষাটিতে প্রাচীন সাহিত্যের নিদর্শন থাকতে হবে যা হবে সম্পূর্ণভাবে স্বকীয় এবং ভাষাটির প্রাচীন রূপ ও আধুনিক রূপের মধ্যে তফাৎ থাকতে হবে। এর পরে তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম এবং ওড়িয়াকেও ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।