গুজরাটের আমেদাবাদে বিভিন্ন উন্নয়নী প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
October 11th, 07:01 pm
গুজরাটের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভূপেন্দ্র ভাইকে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সব সাংসদ ও বিধায়কদের এবং মঞ্চে উপবিষ্ট সকলকে দ্রুতগতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানাই। বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি পরিষেবা ও পরিকাঠামো এখন আমাদের গুজরাটের আমেদাবাদে পাওয়া যাবে। যারা বেসরকারী হাসপাতালে যেতে পারেন না সমাজের সেইসব সাধারণ মানুষ এখন উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা পাবেন। তাঁদের জন্য সরকারি হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দিতে প্রস্তুত। ভাই ও বোনেরা, সাড়ে তিন বছর আগে আমার ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিসরটি উদ্বোধন করার ও ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আজ এই স্বল্প সময়েরর মধ্যেই এই পরিসর বৃহৎ আঙ্গিকে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। এখানে কিডনি রোগীদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। ইউএন মেহেতা ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওলজির পরিষেবা সম্প্রসারণ হয়েছে। গুজরাট ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের কাজও হচ্ছে। এটি হবে দেশের মধ্যে প্রথম সরকারি হাসপাতাল যেখানে সাইবার নাইফের মতো আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। যখন উন্নয়নের গতির প্রশ্ন আসে তখন গুজরাটে এতো বেশি কাজ হয়েছে ও সাফল্য এসেছে যেটা একেবারে গণনা করা সম্ভব হয় না। সব সময়ের মতোই গুজরাট এখনও দেশের মধ্যে প্রথম অনেক কাজই করছে। আমি আপনাদের সকলকে ও গুজরাটবাসীকে এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাই। বিশেষভাবে আমি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল ও তাঁর সরকারকে কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প সফল করার জন্য প্রশংসা করি।প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদের আসারওয়া-র সিভিল হাসপাতালে ১,২৭৫ কোটি টাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবার উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন
October 11th, 02:11 pm
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীকে মঞ্চে সম্বর্ধনা জানানোর পর এটি হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। এর মধ্যে রয়েছে – মঞ্জুশ্রী মিল পরিসরে কিডনি রোগ গবেষণা কেন্দ্র, আসারওয়া সিভিল হাসপাতাল চত্বরে গুজরাট ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হাসপাতাল ভবন, ইউ এন মেহতা হাসপাতালের হস্টেল, ডায়ালিসিসের সুবিধার জন্য ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ, গুজরাট রাজ্যের কেমো কর্মসূচির উন্নয়ন ইত্যাদি। এরপর প্রধানমন্ত্রী নানা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তার মধ্যে গোধরায় নতুন মেডিকেল কলেজ, সোলা-তে নতুন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, আসারওয়া সিভিল হাসপাতালে মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্রীদের আবাসন, আসারওয়ায় রেন বাসেরা সিভিল হাসপাতাল, ভিলোদায় ১২৫ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল এবং আঞ্জোর-এ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপ-জেলা হাসপাতাল।