বিজেপি’র নিখাদ সংগঠক থেকে ভারতের অন্যতম সেরা শাসকে নরেন্দ্র মোদীর উত্তরণ – দৃঢ়তা ও স্থির সংকল্পের এক আখ্যান।
৭ অক্টোবর, ২০০১-এ নরন্দ্র মোদী শপথ নেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। এক রাজনৈতিক কর্মী ও সংগঠকের জগৎ থেকে প্রশাসন ও সরকার চালানোর ভূমিকায় এই চটজলদি পরিবর্তনের দরুন এ পদের জন্য তালিম নেওয়ার কোনও ফুরসত তাঁর মেলেনি। প্রথম দিন থেকেই প্রতিকূল রাজনৈতিক আবহের মধ্যে তাঁকে প্রশাসনের হাল ধরতে হয়েছে। তাঁর দলীয় সহকর্মীরা তাঁকে শাসনকাজে অভিজ্ঞতাহীন এক বহিরাগত বলে ভাবতেন। তিনি কিন্তু একেবারে প্রথম দিন থেকেই এই চ্যালেঞ্জের যথাযথ মোকাবিলা করেছেন।
প্রথম ১০০ দিন
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী রূপে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম ১০০ দিন থেকে এক ঝলক আঁচ মেলে তিনি কিভবে তাঁর দায়দায়িত্বের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন। শাসন সংস্কারে তিনি এক নতুন ধারার প্রবর্তন এবং বিজেপি’র অনড় অবস্থাকে নাড়া দিতে ছক-বহির্ভূত ধারনার পরিকল্পনা শুরু করেন। এই ১০০ দিনে আমরা দেখি যে বিধ্বসী ভূমিকম্পের পর কচ্ছে পুনর্বাসন তাড়াতাড়ি সারতে প্রশাসনিক লাল ফিতের বাধা কাটাতে ও পন্থাপদ্ধতি সরল করতে নরেন্দ্র মোদী গুজরাট প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন।
এই প্রথম ১০০ দিন আমাদের বোঝার সুযোগ সামনে এনে দেয় নরেন্দ্র মোদীর নীতিও – কাজে খরচে রাশ টানা, নিজের নজির দিয়ে নেতৃত্বদান, একজন ভালো শ্রোতা ও চটজলদি শিক্ষার্থী হওয়ার। প্রথম ১০০ দিন সবাইকার অন্তর্ভুক্তির মূল্যবোধ ব্যবস্থায় তার আস্থাও তুলে ধরে। কন্যাশিশুর শিক্ষায় তার অগ্রাধিকার এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে ঐকমত্যকে বেছে নেওয়া গ্রামগুলিকে উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ বাবদ উৎসাহ দেওয়া তা স্পষ্ট বোঝা যায়।
পরিশেষে, ক্ষমতায় আসার প্রথম তিন মাসে, তিনি রাজ্যের মানুষের ক্ষমতায়ন করেছেন এবং শাসনকাজে তাঁদের অংশীদার বানিয়েছেন। দীপাবলির আগের দিন কচ্ছে তিনি ভূকম্প পীড়িতদের সঙ্গে কাটান এবং পুনর্বাসন কাজে নেতৃত্ব দেন। শ্রী মোদী দেখিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন ও সুশাসনের রাজনীতিতে দৃঢ় মনোযোগ দিয়ে গুজরাট কিভাবে দ্রুত সঙ্কট উৎরাতে পেরেছে। উন্নয়ন ও শাসনের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে এক প্রাণবন্ত বা চনমনে গুজরাট তৈরি করতে নরেন্দ্র মোদীর পথ সহজ ছিল না। সেই পথে বাধাবিঘ্ন ও চ্যালেঞ্জ ছিল দুস্তর, প্রাকৃতিক তো বটেই এবং মানুষের তৈরিও। এর মধ্যে কিছু তাঁর দল থেকেও এসেছে। কিন্তু কঠিন সময়ে তাঁর জোরাল নেতৃত্বের গুণে তিনি সব বাধা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। এমনকি নরেন্দ্র মোদী শক্তি সংস্কার কাজে হাত দেওয়ার আগেই, ২০০২-এর ঘটনাবলি তার সমস্যা মোকাবিলা করার সামর্থ্য যাচাই করে নিয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক প্রাণহানি ও সেইসঙ্গে সংকট কাটিয়ে উঠতে গুজরটে আস্থার অভাবের দরুন অপেক্ষাকৃত দুর্বলচিত্তের মানুষ দায়িত্ব এড়াতেন ও ইস্তফা দিতেন। নরেন্দ্র মোদীরও চরিত্র অবশ্য এক ভিন ধাতু দিয়ে গড়া। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তোপ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রবল চাপ যুগপৎ সহ্য করে তিনি তাঁর সুশাসনের লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল।
আর এসে গেল আলো : জ্যোতিগ্রাম যোজনা
শ্রী নরেন্দ্র মোদী কিভাবে প্রচন্ড রাজনৈতিক বিরোধীতার মুখেও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল গুজরাটের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্কারের জন্য গৃহীত জ্যোতিগ্রাম কর্মসূচি। জ্যোতিগ্রাম ছিল গুজরাটের চতুর্দিক জুড়ে মেগা সিটি থেকে প্রত্যন্ত উপজাতিয় গ্রামে রাতদিন সাতদিন বিদ্যুৎ যোগানোর এক বৈপ্লবিক ধারণা।
এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কৃষকরা সঙ্গে সঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। কৃষকদের লবিগুলির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বড় ধরনের বিরোধ সত্ত্বেও, তাঁর রাতদিন সাতদিন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার স্বপ্নে নিশ্চল থাকেন। এর ফলে, জ্যোতিগ্রাম রাজ্যব্যাপী এক সাফল্যের কাহিনী হয়ে ওঠে। জ্যোতিগ্রামের মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদী দেখিয়েছেন যে তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব এবং প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির ধারণা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এখনও পর্যন্ত তাঁর কাজের মূলমন্ত্র হচ্ছে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ (যৌথ উদ্যোগ, অন্তর্ভুক্ত বৃদ্ধি)।
রাজনীতির ওপরে সরকার
নরেন্দ্র মোদী সর্বদাই বিশ্বাস করেছেন যে রাজনীতি থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সুপ্রশাসন। তিনি কখনই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জের সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে অন্তরায় হতে দেননি। সর্দার সরোবর প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়া এবং যেভাবে নরেন্দ্র মোদী গুজরাটে নর্মদার জল আনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তা থেকে বোঝা যাচ্ছে কিভাবে সুপ্রশাসন, মতৈক্য এবং বিচক্ষণতার মিশ্রণে পরিচালিত হতে পারে।
শ্রী মোদী এই প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করতে প্রতিবেশী মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে চাতুর্য্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং এই প্রক্রিয়ায় কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আজকের সময়ের রাজনৈতিক পরিবেশে দুই পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের এই ধরনের দৃষ্টান্ত প্রায় দেখা যায় না।
পানীয় এবং সেচ – এই উভয় ক্ষেত্রের জল পরিচালন ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে শ্রী মোদী দেখিয়েছেন যে সরকারের কাজ কেবলমাত্র অতিকায় প্রকল্প স্থাপনই নয়, এর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পরিষেবা প্রদানের বিষয়টিকেও দেখা দরকার।
উন্নয়নের জন্য কেবল বোতাম টেপার অপেক্ষা
প্রকল্প রূপায়ণে এবং প্রকল্পের খুঁটিনাটির ওপর তাঁর নজরে নরেন্দ্র মোদীর জোর দেওয়া থেকে এটা ব্যাখ্যা করা যায়, বিগত দশকে সর্বশেষ পর্যায়ের পরিষেবার যোগান নিশ্চিত করাকে কেন তিনি এত গুরুত্ব দিয়েছেন।
পরিষেবা প্রদানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিনব পদ্ধতিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। জিও স্প্যাটিয়াল ম্যাপিং বা ভূ-বৈচিত্র্যের মানচিত্র তৈরি থেকে ই-আদালত পর্যন্ত নাগরিক ও সরকারের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টিকে, ‘স্বাগত’ এবং ‘ওয়ান-ডে গভর্নেন্স’ বা একদিনে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়েছে।
শ্রী মোদী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য সুবিদিত। তালুক এবং গ্রামস্তর পর্যন্ত তিনি এই কাজকে নিয়ে গেছেন। শ্রী মোদীর দৃঢ় বিশ্বাস যে নিত্যনতুন আইন প্রণয়নের চেয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলেই শিল্প স্থাপনে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। ‘এক জানালা ব্যবস্থা’, এমনকি প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা এনে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার কাজেও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
সাফল্যের তিন স্তম্ভ
নরেন্দ্র মোদীর গুজরাটের সাফল্যের কাহিনী কৃষি, শিল্প এবং পরিষেবা – এই তিন স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর মেয়াদকালে গুজরাট কৃষিক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে গুজরাট এক সময় খরাপ্রবণ রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল, এমন এক রাজ্যের ক্ষেত্রে এটি এক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব। কৃষি মহোৎসব-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি ঐ রাজ্যের কৃষকদের জীবন সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। তাঁর দ্বিবার্ষিক ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ সম্মেলন গুজরাটে রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ এনেছে। এর ফলে, সারা রাজ্যে কর্মসৃজনের প্রক্রিয়া জোরদার হয়েছে। এছাড়া, মাঝারি এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বর্গ হিসাবে তাঁর নেতৃত্বে গুজরাট আত্মপ্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব
প্রশাসক হিসাবে শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দক্ষতা দু’বার পরীক্ষিত হয়েছে। ২০০৬-এ সুরাটে বিধ্বংসী বন্যার সময় এবং ২০০৮-এ যখন সন্ত্রাসবাদীরা গুজরাটের অনেকগুলি শহরে আক্রমণ চালিয়েছিল – এই দুটি ক্ষেত্রেই কাজকর্মের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে শ্রী মোদীর উদ্যোগ ছবিটা বদলে দেয়।
২০০১-০২-এ কচ্ছ-এ বিপর্যয় মোকাবিলা এবং পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তার অভিজ্ঞতা,ভারত মহাসাগরে সুনামি এবং উত্তরাখণ্ডে বিধ্বংসী বন্যামোকাবিলার সময়েও দারুণভাবে কাজে লেগেছিল।
আইনবলবৎ করার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ যে কতদূর কার্যকর হতে পারে, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গুজরাট পুলিশ ২০০৮-এর ধারাবাহিক বিষ্ফোরণের মামলা রেকর্ড সময়ে সমাধানের মধ্যে তা দেখা গেছে। প্রশাসন এবং তা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রকৃত নেতার ছাপ থাকে, তিনি কিভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন তার ওপর। সেই ক্ষেত্রেশ্রী মোদীর প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার ফলে শক্তি নিরাপত্তার সমস্যা মোকাবিলায় পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে ফরেনসিক এবং রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মতো বিচিত্র ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্মে শ্রী মোদীর কাজের ধরণের মধ্যে তাঁর এই বিশ্বাস ফুটে ওঠে যে সুপ্রশাসন কেবলমাত্র আজকের সমস্যা সমাধানের জন্যই নয়, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ অনুমান করে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকাটাও প্রয়োজন।
কর্মোদ্যোগের ঐক্যে বিশ্বাসী
যখন শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, তখন প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর কাজের ধারার মধ্যে কর্মোদ্যোগের ঐক্যে তাঁর বিশ্বাস প্রতিফলিত হচ্ছে। শ্রী মোদীর দর্শন হচ্ছে ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্নেন্স’, অর্থাৎ সরকারের ন্যূনতম প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামোয়, সবচেয়ে ভালোভাবে প্রশাসন পরিচালনার কাজ। তাঁর এই দর্শন পঞ্চ অম্রুত নির্মাণের ক্ষেত্রে দেখা গেছে। এটি নির্দিষ্ট এক লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রশাসনিক উদ্যোগ পরিচালনার কথা বলে। এর ফলে, বিভিন্ন মন্ত্রক এবং বিভাগের মধ্যে বিভাজন রেখা মুছে যায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক কাজের পুরনো ধারণাও অন্তর্হিত হয়।
শ্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারত সরকারের কাজে মৌলিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সম্মিলিতভাবে কাজের চিন্তা এবং যে কোন কর্মোদ্যোগ রূপায়ণে সুসংহত প্রচেষ্টা। বিগত তিন বছরে শ্রী মোদীর বিভিন্ন ধরনের কর্মোদ্যোগ, সে অপ্রচলিত শক্তির উৎসকে কাজে লাগানো থেকে পরবর্তী প্রজন্মের পৌর পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ – এই সবকিছুতেই প্রশাসন এবং তার কাজকর্মকে সমবেত করে পরিচালনার বিষয়টি দেখা যায়। প্রশাসনিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমবেত প্রচেষ্টা আগামীদিনগুলিতে ভারতের পক্ষে শুভকর হবে।
২০০১-১৩ পর্যন্ত প্রশাসন পরিচালনার কাজকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে উঠে আসা, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরকারের প্রশংসা এবং পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্যে প্রতিফলিত হয়।
প্রমাণপত্র
“সবাই জানেন, মোদী একজন শক্তিশালী নেতা এবং সুদক্ষ প্রশাসক। তাঁর জন্য আমার শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা সর্বদাই থাকবে। তাঁর ভবিষ্যতের জন্য আমি প্রার্থনা করি এবং আশা করি ভারতের জন্য তাঁর যে পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন রয়েছে তা পূর্ণ হবে।” - সুপারস্টার রজনীকান্ত
"“নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাঁকে দেখে আমার ভালো মানুষ মনে হয়েছে। তিনি গুজরাটে খুব ভালো কাজ করেছেন।" - ধর্মগুরু ও আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী রবিশঙ্করজি
“নরেন্দ্রভাই আমার কাছে ভাইয়ের মতো। আমরা সবাই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। দেওয়ালির এই পবিত্র সময়ে আমি আশা করি আমাদের ইচ্ছা পূর্ণ হবে।" - বিশিষ্ট গায়িকা শ্রীমতী লতা মঙ্গেশকর
“এই মুহূর্তে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে সৎ মানুষ প্রয়োজন। এক কথায় বলতে গেলে আমাদের নরেন্দ্র মোদীকে প্রয়োজন।" - প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, লেখক ও সাংবাদিক শ্রী অরুণ শৌরি
“এই সময়ে শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের জন্য ভগবৎ প্রেরিত। তিনি দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি দেশের জন্য সম্মান নিয়ে আসবেন।" - তুঘলক পত্রিকার সম্পাদক শ্রী চো রামস্বামী
ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের সবচেয়ে সফল মুখ্যমন্ত্রী এবং সুদক্ষ প্রশাসক হিসাবে তাঁর সমৃদ্ধ এবং হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন।