কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক প্রস্তাবিত দূষণ মুক্ত বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি (সিপিপি)-তে অনুমোদন দিল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
প্রায় ১৭৬৫ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে এই বিশেষ কর্মসূচিটি দেশের বন ও উদ্যান পালন ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক অধ্যায়ের সূচনা করবে। শুধু তাই নয়, এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে উৎকর্ষের সঙ্গে নিরন্তর কর্ম প্রচেষ্টারও একটি নির্দিষ্ট মান তা স্থির করে দেবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বাজেট ভাষণে এই কর্মসূচিটির কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সারা দেশে উন্নতমানের ফলমূলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এই বিশেষ কর্মসূচিটি সহায়ক হবে বলে তিনি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন।
এই কর্মসূচি রূপায়ণের ফলে দেশের নার্সারিগুলির কাজে যেমন গতি আসবে অন্যদিকে তেমনি ক্রেতা ও ভোক্তাসাধারণও ভাইরাস মুক্ত, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং স্বাদু ফলের আস্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।
এই ধরনের ফলমূল ভাইরাস মুক্ত হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এদেশের রপ্তানিকারকরাও এক সুবিধাজনক অবস্থানের সুফল ভোগ করতে পারবেন।
এই কর্মসূচির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এই যে দেশের মহিলা কৃষিজীবীরাও আরও সক্রিয় ভাবে এর রূপায়ণে নিজেদের যুক্ত করার সুযোগ পাবেন। এর ফলে, সহায় সম্পদের যোগান, প্রশিক্ষণ এবং ক্ষেত্র বিশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগও তাঁরা লাভ করবেন।
যেহেতু এই কর্মসূচিটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক কর্মপ্রচেষ্টাকে উৎসাহ দেবে, তার ফলে দেশের জলবায়ু পরির্বতনের বৈচিত্র্যের সঙ্গে সাযুজ্য বজায় রেখে ফল উৎপাদনের কাজও আরও সহজ হয়ে উঠবে। এই কর্মসূচির আওতায় পুণেতে আঙুর; শ্রীনগর ও মুক্তেশ্বরে আপেল, আখরোট ও কাঠবাদাম; নাগপুর ও বিকানিরে লেবু; বেঙ্গালুরুতে আম, পেয়ারা ও অ্যাভাক্যাডো; লক্ষ্ণৌতে আম, পেয়ারা ও লিচু; সোলাপুরে বেদানা এবং পূর্ব ভারতে ট্রপিকাল ফলোৎপাদনের লক্ষ্যে বিশেষ বিশেষ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এর সবকটিই হয়ে উঠবে উন্নত ও বিশ্বমানের।