প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ দেশজুড়ে অক্সিজেন সরবরাহ এবং যোগান বাড়ানোর বিভিন্ন পন্থা পদ্ধতি বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। গত কয়েক সপ্তাহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়াতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে সে বিষয়ে আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী একাধিক ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।অক্সিজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি,দ্রুত সরবরাহ এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন মেটাতে উদ্ভাবনী পন্থা ইত্যাদি বিষয় গুলি নিয়ে বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে তাদের অক্সিজেনের চাহিদা চিহ্নিত করে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহের কিকি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জানান হয়। রাজ্যগুলিতে ক্রমাগত অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা হচ্ছে সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়। ২০ টি রাজ্যের বর্তমানে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন অক্সিজেনের প্রয়োজন যেখানে ৬,৭৮৫ মেট্রিক টন লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন,কেন্দ্রীয় সরকার গতকাল থেকে সেই রাজ্যগুলির জন্য ৬,৮২২ মেট্রিক টন অক্সিজেন বরাদ্দ করেছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সরকারী ও বেসরকারী ইস্পাত শিল্প,প্রকল্প,অক্সিজেন প্রস্তুতকারক সংস্থা গুলির সহযোগিতায় এবং অত্যাবশ্যক নয় এমন শিল্পক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহের রাশ টেনে,প্রতিদিন প্রায় ৩,৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের যোগান বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে রাজ্যগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করে যত দ্রুত সম্ভব অনুমোদিত পিএসএ অক্সিজেন প্লান্টগুলি চালু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ মসৃণ ও অবাধ করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সম্মুখীন হলে আঞ্চলিক প্রশাসনের দায়িত্ব নির্ধারণের প্রয়োজন রয়েছে।অক্সিজেন উৎপাদন এবং যোগান বাড়াতে বিভিন্ন মন্ত্রককে উদ্ভাবনী পন্থা পদ্ধতি নির্ধারণের পরামর্শ দেন শ্রী মোদী।
সাইরজেনিক ট্যাঙ্কারের ক্রমবদ্ধর্মান চাহিদা মেটাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।তার মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ও আর্গন ট্যাঙ্কার গুলির রূপান্তর,আমদানি,সেগুলিকে বিমানে করে নিয়ে আসা এবং ট্যাঙ্কার উৎপাদন প্রমুখ।
রাজ্যগুলিতে দ্রুত অক্সিজেন পরিবহন নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দেন। রেলের মাধ্যমে দ্রুত এবং দীর্ঘ দূরত্বে,না থেমে ট্যাঙ্কার পাঠানোর বিষয়টি আজকের বৈঠকে গুরুত্ব পায়। আজই ১০৫ মেট্রিক টন এলএমও নিয়ে প্রথম রেকটি মুম্বাই থেকে ভাইজাগ পৌঁছেছে। একই ভাবে খালি ট্যাঙ্কার গুলিকে বিমানে করে উড়িয়ে এনে অক্সিজেন উৎপাদনকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।এর ফলে অক্সিজেন সরবরাহে একদিকের যাত্রা পথের সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত প্রতিনিধিরা অক্সিজেনের সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত ব্যবহারে ওপর জোর দেন। রোগির চিকিৎসা ব্যহত না করে কিছু কিছু রাজ্য কিভাবে অক্সিজেনের চাহিদা হ্রাস করছে সে বিষয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন বলে তাঁরা জানান।
রাজ্যগুলি,অক্সিজেনের মজুতের পরিমাণ যাতে নিয়ন্ত্রণ করে সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী জোর দেন।
আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের ক্যাবিনেট সচিব,প্রধান সচিব,স্বরাষ্ট্র সচিব,বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক,সড়ক পরিবহন মন্ত্রক,ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নীতি আয়োগের আধিকারিকরা যোগ দেন।