আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আমরা সবাই জানি যে আজ মেজর ধ্যানচাঁদজির জন্মবার্ষিকী। এবং আমাদের দেশ তাঁর স্মরণে এই দিনটি জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে উদযাপন করে। আমি ভাবছিলাম যে এই সময় হয়তো, মেজর ধ্যানচাঁদজির আত্মা যেখানেই থাকুক, তিনি নিশ্চয়ই খুব আনন্দ অনুভব করছেন। কারণ বিশ্বে ভারতীয় হকির জয়ডঙ্কা বেজে উঠেছিল ধ্যানচাঁদজির হকির সৌজন্যে। এবং চার দশক পরে, প্রায় ৪১ বছর পরে, ভারতের যুবসম্প্রদায়, ছেলে ও মেয়েরা হকিকে আরো একবার পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছে। আর যতই পদক লাভ হোক, কিন্তু হকিতে পদক না পাওয়া পর্যন্ত ভারতের কোন নাগরিক জয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারে না, আর এইবার অলিম্পিকে হকিতে পদক লাভ হয়েছে, চার দশক পর। আপনি কল্পনা করতে পারেন মেজর ধ্যানচাঁদজির মন, তাঁর আত্মা যেখানেই থাকুক, সেখানে তিনি কত খুশি হবেন। ধ্যানচাঁদজির সারা জীবন খেলাধুলার জন্য সমর্পিত ছিল এবং সেই কারণেই আজ আমরা দেশের যুবদের মধ্যে, আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ দেখতে পেয়েছি। বাবা-মাও খুশি হন যখন তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদের খেলাধুলোয় এগিয়ে যেতে দেখেন। এই যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে, আমি মনে করি এটাই মেজর ধ্যানচাঁদজির প্রতি মহান শ্রদ্ধাঞ্জলী।
বন্ধুরা , যখন খেলাধুলার কথা হয়, তখন আমাদের সামনে সমস্ত তরুণ প্রজন্মকে দেখতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং যখন আমি তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করি, তখন তাদের মধ্যে অনেক বড় পরিবর্তন ধরা পড়ে। যুবদের মনের পরিবর্তন হয়েছে। আজকের তরুণ মন জীর্ণ পুরনো পন্থা থেকে সরে গিয়ে নতুন কিছু করতে চায়, ভিন্নভাবে কিছু করতে চায়। আজকের তরুণ মন চিরাচরিত পথে হাটতে চায় না। সে নতুন পথ তৈরি করতে চায়। অজানা জায়গায় পা রাখতে চায়। নতুন গন্তব্য, নতুন লক্ষ্য, রাস্তাও নতুন এবং ইচ্ছাও নতুন। আরে, তরুণ যদি একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, সেই কাজে উঠে পড়ে লাগে । দিনরাত পরিশ্রম করে। এই কিছুদিন আগেই আমরা দেখলাম ভারত নিজের মহাকাশ ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করেছে এবং সঙ্গে সঙ্গেই সেই সুযোগ তরুণ প্রজন্ম গ্রহণ করেছে ও তার লাভ তোলার জন্য কলেজের ছাত্রছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী ক্ষেত্রে কর্মরত তরুণরা অনেক উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং আমি নিশ্চিত যে আগামী দিনে এই ধরনের বিপুল সংখ্যক কৃত্রিম উপগ্রহ থাকবে যেখানে আমাদের যুবরা, আমাদের ছাত্ররা, আমাদের কলেজ, আমাদের ইউনিভার্সিটি, পরীক্ষাগারে কাজ করে এমন সব ছাত্রছাত্রীরা কাজ করেছে ।
একইভাবে, আজ যে দিকেই তাকান, যে কোন পরিবারেই যান, পরিবার যতই ধনী হোক, শিক্ষিত হোক, কিন্তু পরিবারে তরুণদের সঙ্গে কথা বললে, তারা কি বলে -- সে তার পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে ভিন্ন মত পোষণ করে। বলে যে আমি স্টার্টআপ করব, নতুন উদ্যোগে চলে যাব। অর্থাৎ তার মন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। আজ ছোট ছোট শহরে নতুন উদ্যোগের সংস্কৃতি প্রসারিত হচ্ছে এবং আমি তাদের মধ্যে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষণ দেখতে পেয়েছি। মাত্র কয়েকদিন আগে আমাদের দেশে খেলনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো । তৎক্ষণাৎ এই বিষয়টি আমাদের তরুণদের নজরে আসে, তারা সিদ্ধান্ত নেয় কিভাবে বিশ্বের দরবারে ভারতীয় খেলনা স্বীকৃতি লাভ করতে পারে। তাঁরা নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এবং বিশ্বে খেলনার বিশাল বাজার রয়েছে, প্রায় ৬-৭ লক্ষ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। সেখানে আজ ভারতের অংশ খুবই কম। কিন্তু খেলনা কিভাবে তৈরি করা যায়, খেলনায় কি বৈচিত্র থাকবে, খেলনায় কি প্রযুক্তি থাকবে, কিভাবে শিশুদের মনস্তত্ত্ব অনুযায়ী খেলনা বানানো যায়, আজ আমাদের দেশের যুবরা এইসব বিষয়ে মনোনিবেশ করছেন। তারা কিছু অবদান রাখতে চায়। বন্ধুরা, আরেকটি বিষয় আছে যা মনকে খুশিতে ভরিয়ে দেয় ও আমাদের বিশ্বাসকেও শক্তিশালী করে। সেটা কি, তা আপনি কখনো খেয়াল করেছেন? সাধারণত আমাদের স্বভাব হয়ে গিয়েছিল-- এটাই ঘটে, বন্ধু এমনটাই চলে, কিন্তু এখন দেখছি আমার দেশের যুব মন সেরার দিকেই নিজেকে কেন্দ্রীভূত করছে। সবার চেয়ে সেরা করতে চায়, সেরা ভাবে করতে চায়। এটিও জাতিকে এক মহান শক্তিতে পরিণত করবে ।
বন্ধুরা , এবারের অলিম্পিক বিশাল প্রভাব ফেলেছে। অলিম্পিক গেমস শেষ। এখন প্যারালিম্পিকস চলছে। ক্রীড়া জগতে আমাদের দেশ যা কিছু লাভ করেছে, তা বিশ্বের তুলনায় কম হতে পারে, কিন্তু আত্মবিশ্বাস জাগানোর জন্য অনেক কিছুই হয়েছে। আজকের যুব সমাজ শুধু খেলাধুলার দিকেই তাকিয়ে নেই বরং তারা এর সঙ্গে যুক্ত সম্ভাবনার দিকেও তাকিয়ে রয়েছে। তারা এর পুরো বাস্তুতন্ত্রকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, সামর্থকে বুঝছে এবং নিজেকে তার সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত করতে চাইছে। এখন তারা প্রচলিত জিনিসকে ছাড়িয়ে গিয়ে নতুনকে গ্রহণ করছে। আর আমার দেশবাসী, এখন এতটা গতি এসেছে, যে প্রতি পরিবারে খেলাধুলা সংক্রান্ত চর্চা শুরু হয়েছে। এবার আপনি বলুন, এখন এই গতিকে থামতে দেওয়া উচিত? বন্ধ করে দেওয়া উচিত? না। আপনিও নিশ্চয়ই আমার মত ভাবছেন ।
এখন দেশে খেলাধুলা, স্পোর্টস, স্পোর্টসম্যান স্পিরিট আর থামালে চলবে না। এই উদ্দীপনাকে পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, সমগ্র দেশবাসীর জীবনে স্থায়ী করতে হবে। শক্তি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। ক্রমাগত নতুন শক্তি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। ঘর হোক, বাহির হোক, গ্রাম হোক, শহর হোক, আমাদের খেলার মাঠ যেন ভরা থাকে। সকলেই খেলুক, সকলেই প্রস্ফুটিত হোক, আর আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে আমি লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম, "সবকা প্রয়াস'' - হ্যাঁ সকলের প্রচেষ্টা। সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ভারত খেলায় সেই উচ্চতায় পৌঁছতে পারে যা তার অধিকার। মেজর ধ্যানচাঁদ জির মত মানুষেরা যে পথ দেখিয়েছেন, তাতে এগিয়ে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। অনেক বছর পরে দেশে এমন এক সময় এসেছে যে খেলার প্রতি পরিবার হোক, সমাজ হোক, রাজ্য হোক, রাষ্ট্র হোক, একই অনুভূতি নিয়ে সকলেই যুক্ত রয়েছেন।
আমার প্রিয় যুবা বন্ধুরা, আমাদের এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের স্পোর্টসে সাফল্য অর্জন করতে হবে। গ্রামে গ্রামে খেলার প্রতিযোগিতা অনবরত চলা উচিত। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খেলা বিস্তৃতি লাভ করে, খেলার বিকাশ হয়, খেলোয়াড়াও এভাবেই উঠে আসেন। আসুন আমরা সকল দেশবাসী এই উদ্দীপনাকে যতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, যতটা আমরা যোগদান করতে পারি, ''সবকা প্রয়াস''- এই মন্ত্রের মাধ্যমে সফল করে দেখাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, কাল জন্মাষ্টমী মহোৎসব । জন্মাষ্টমীর এই উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব। আমরা ঈশ্বরের সকল রূপের সঙ্গে পরিচিত, চঞ্চল গোপাল থেকে শুরু করে বিশ্বরূপ ধারণ করা কৃষ্ণ পর্যন্ত। শাস্ত্রজ্ঞানী থেকে শুরু করে অস্ত্রধারী কৃষ্ণ পর্যন্ত। শিল্প হোক, সৌন্দর্য হোক, মাধুর্য হোক, সব স্থানেই কৃষ্ণ বিরাজমান। কিন্তু এই কথা আমি এই জন্য বলছি যে, জন্মাষ্টমীর কিছুদিন আগেই আমি এমন এক অত্যাশ্চর্য অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি যে আমার ইচ্ছে করছে এই কথাগুলো আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিই। আপনারা মনে করতে পারেন, এই মাসের কুড়ি তারিখে ভগবান সোমনাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমনাথ মন্দির থেকে তিন চার কিলোমিটার দূরে ভালকা তীর্থ স্থান, এই ভালকা তীর্থস্থানেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর জীবনের অন্তিম মুহূর্ত কাটিয়েছেন। একপ্রকার এই পৃথিবীতে ওঁর লীলার সমাপন হয়েছে এখানে। সোমনাথ ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই সমস্ত অঞ্চলে উন্নয়নমূলক নানা কাজ চলছে। আমি ভালকা তীর্থ আর ওখানে হওয়া কাজের ব্যাপারে ভাবছিলাম, ঠিক তখনই আমার নজর পড়ে এক সুন্দর আর্ট বুকের উপর। এই বইটা আমার বাড়ির বাইরে কেউ আমার জন্য রেখে গিয়েছিল। এতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অনেক রূপের কথা, অনেক ছবি ছিল। সব মনমুগ্ধকর ছবি এবং খুব অর্থবহ ছবিও। আমি বইয়ের পাতা উল্টানো শুরু করলাম, তো আমার কৌতুহল বাড়লো। যখন আমি এই বইয়ের সব ছবি দেখলাম, ওর মধ্যে আমার জন্য লেখা এক বার্তা পড়লাম তখন আমার মনে হল ওঁর সঙ্গে দেখা করি। যিনি আমার বাড়ির বাইরে এই বই রেখে গেছেন, তাঁর সঙ্গে আমার দেখা করা উচিত। সেই কারণে আমার অফিস ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমার ওই আর্টবুক দেখে, শ্রীকৃষ্ণের নানা রূপ দেখে এতটাই কৌতূহল হয়, যে পরের দিনই তাকে দেখা করতে ডাকলাম। এই কৌতুহল এর জন্যই আমার দেখা হলো যদুরানী দাসীর সঙ্গে। উনি আমেরিকা নিবাসী, ওর জন্ম আমেরিকায়, বড় হয়েছেন আমেরিকায়। যদুরানী দাসী ইস্কনের সঙ্গে যুক্ত। হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আর তার এক বড় বৈশিষ্ট্য, উনি ভক্তি আর্টসে দক্ষ। আপনারা জানেন যে আর দুদিন পরে পয়লা সেপ্টেম্বর ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল প্রভুপাদ স্বামীর 125 তম জন্ম জয়ন্তী। যদুরানী দাসী এর জন্যেই ভারতবর্ষে এসেছিলেন। আমার সামনে বড় প্রশ্ন ছিল যে যাঁর জন্ম আমেরিকায় হয়েছে, যিনি ভারতীয় ভাবনার থেকে এত দূরে থেকেছেন, উনি কেমন করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এমন মনমুগ্ধকর ছবি আঁকতে পারেন। আমার তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষন কথা হয়েছিল, আমি আপনাদের তারই কিছু অংশ শোনাতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী : যদুরানীজি, হরে কৃষ্ণ! আমি ভক্তি আর্ট নিয়ে কিছু পড়াশোনা করেছি, কিন্তু আপনি আমাদের শ্রোতাদের এ বিষয়ে আরো কিছু বলুন। এই বিষয়ে আপনার আগ্রহ এবং আবেগ দারুন।
যদুরানীজি : ভক্তি আর্ট নিয়ে একটি নিবন্ধ রয়েছে যেটা ব্যাখ্যা করে যে এই শিল্প মন বা কল্পনা শক্তি থেকে উদ্ভূত হয় না বরং প্রাচীন বৈদিক শাস্ত্র ব্রহ্ম সংহিতা থেকে এর উৎপত্তি। 'ওয়েং ওঁকারায় পতিতং স্কিলতং সিকদং', বৃন্দাবনের গোঁসাই এর কথা, স্বয়ং ভগবান ব্রহ্মাও বলেছেন। "ঈশ্বর: পরমঃ, কৃষ্ণ ঃ, সচ্চিদানন্দ বিগ্রহঃ"। তিনি কিভাবে বাঁশি ধারণ করেন, কিভাবে তার এক অনুভূতি অন্য অনুভূতির সঙ্গে মিলে যায় তাই শ্রীমদ্ভগবত গীতার কথা '' বর্হাপিন্ড নটবরবপু কর্নায়ও, কর্ণিকারং'', তিনি একটি পদ্ম ফুল তাঁর কানে দেন, তার পদ্ম পায়ের ছাপ বৃন্দাবনের মাটিতে থাকে, গোরুর পালের মাধ্যমে তাঁর গৌরবের কথা ছড়িয়ে পরে, তাঁর বাঁশি সকল ভাগ্যবান মানুষের হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে আকৃষ্ট করে।
কাজেই সবকিছুই প্রাচীন বৈদিক শাস্ত্র থেকে গৃহীত এবং এই শাস্ত্র গুলির শক্তি হলো অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা সম্পন্ন খাঁটি ভক্ত সাধকদের শক্তি। এই সাধনাকে তারা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এবং তার জন্যই তা রূপান্তরে সক্ষম। এখানে আমার নিজস্ব শক্তি কিছুই নেই।
প্রধানমন্ত্রী : যদুরানী জি, আপনার জন্য আমার একটা অন্য ধরনের প্রশ্ন আছে। আপনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতবর্ষের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। ১৯৬৬ থেকে একভাবে, এবং ১৯৭৬ থেকে প্রত্যক্ষভাবে। আপনি দয়া করে আমাকে বলবেন, ভারত বর্ষ আপনার কাছে কী অর্থ বহন করে?
যদুরানীজি: প্রধানমন্ত্রী জি আমার কাছে ভারতবর্ষই সব। কয়েকদিন আগে আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতি জিকে বলছিলাম যে ভারত প্রযুক্তিগতভাবে এত উন্নতি করেছে এবং পাশ্চাত্যের অনুসরণে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, আইফোন, বড় বড় বিল্ডিং ও অন্যান্য বহু সুযোগ-সুবিধা ও হচ্ছে, কিন্তু কি জানেন ওটা ভারতের আসল গৌরব নয় । ভারতকে যা গৌরবান্বিত করে তা হলো স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ অবতার রূপে এখানে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং অন্যান্য সকল অবতারেরা আবির্ভূত হয়েছিলেন। দেবাদিদেব মহাদেব, প্রভু রাম এখানে আবির্ভূত হয়েছিলেন । সব পবিত্র নদী গুলি এখানে অবস্থিত। বৈষ্ণব সংস্কৃতির সব পূণ্য স্থানগুলি এখানে রয়েছে। তাই ভারত বিশেষ করে বৃন্দাবন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এটি সকল বৈকুণ্ঠ গ্রহগুলির উৎস । বৃন্দাবন এটি দ্বারিকার উৎস, সমগ্র জড়বস্তু সৃষ্টির উৎস। তাই আমি ভারতকে ভালবাসি।
প্রধানমন্ত্রী: ধন্যবাদ যদুরানী জি, হরেকৃষ্ণ।
বন্ধুরা বিশ্বের মানুষ যখন আজ ভারতীয় অধ্যাত্ম ও দর্শনের বিষয়ে এতকিছু চিন্তা করেন তখন আমাদেরও দায়িত্ব আমরা আমাদের এই মহান ঐতিহ্য কে এগিয়ে নিয়ে যাই। যা সেকেলে তাকে ত্যাগ করতেই হবে, কিন্তু যা কালজয়ী তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আসুন, আমরা আমাদের পালা-পার্বণ গুলি উদযাপন করি তাদের পেছনের বৈজ্ঞানিক ভাবনা ও অর্থকে বুঝি। শুধু এটুকুই নয় প্রতিটি পার্বনেই কোন না কোন বার্তা রয়েছে, কোনো না কোনো সংস্কার রয়েছে। আমাদের সেটাও জানতে হবে, যাপন করতে হবে এবং অনাগত প্রজন্মদের জন্য উত্তরাধিকার রূপে এগিয়েও নিয়ে যেতে হবে। আমি আরো একবার সকল দেশবাসীকে জন্মাষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এই করোনাকালে স্বচ্ছতা বিষয়ে আমার যতটা বলা উচিত ছিল হয়তো তাতে কিছুটা খামতি রয়ে গিয়েছিলো। আমিও মনে করি স্বচ্ছতা অভিযানে আমাদের একটুও শিথিলতা দেখানো উচিত নয়। রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সবার প্রচেষ্টা কিভাবে সবার উন্নতি সাধন করে, তার উদাহরণ আমাদের প্রেরনা যোগায় এবং কিছু করার জন্য এক নতুন উদ্যমে ভরে তোলে, নতুন বিশ্বাসে ভরপুর করে তোলে। আমাদের সংকল্পে প্রাণ সঞ্চার করে। আমরা এটা ভালভাবেই জানি যে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রসঙ্গ যখনই আসে ইন্দোরের নাম আসবেই আসবে, কারণ ইন্দোর স্বচ্ছতা বিষয়ে নিজের একটা বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেছে এবং ইন্দোরের নাগরিকরা এজন্য অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। আমাদের এই ইন্দোর অনেক বছর ধরেই স্বচ্ছ ভারত Ranking এ এক নম্বরে রয়েছে। এখন ইন্দোরের নাগরিকরা স্বচ্ছ ভারতের এই Ranking এ সন্তুষ্ট হয়ে বসে থাকতে রাজি নন। তারা এগিয়ে যেতে চান, নতুন কিছু করতে চান। তারা মনস্থির করে ফেলেছেন এবং ওয়াটার প্লাস সিটি তৈরি করার জন্য জান-প্রাণ দিয়ে কাজ করছেন। ওয়াটার প্লাস সিটি হল এমন শহর যেখানে ট্রিটমেন্ট ছাড়া কোন পয়ঃনিষ্কাসী জল কোন সার্বজনীন জলস্রোতে ফেলা হয় না। এখানকার নাগরিকরা নিজেরা এগিয়ে এসে নিজেদের নর্দমাগুলিকে সিউয়েজ লাইন এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন। স্বচ্ছতা অভিযানও চালিয়েছেন আবার এর ফলে সরস্বতী ও কাহ্ন নদীতে পড়া নোংরা জল অনেক কমে গিয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে।
আজ যখন আমাদের দেশ আজাদী কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে তখন আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সংকল্পকে আমরা কখনোই দুর্বল হতে দেবো না। আমাদের দেশে যত বেশি শহর ওয়াটার প্লাস সিটি হবে ততই স্বচ্ছতাও বাড়বে, আমাদের নদীগুলিও পরিষ্কার হবে এবং জল সংরক্ষণের এক মানবিক দায়িত্ব পালনের কাজও হবে।
বন্ধুরা, আমার সামনে একটি দৃষ্টান্ত বিহারের মধুবনী থেকে এসেছে । মধুবনীতে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সেখানকার স্থানীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র একযোগে একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এর লাভ কৃষকরা তো পাচ্ছেনই, এতে স্বচ্ছ ভারত অভিযান নতুন শক্তি পাচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগের নাম হল "সুক্ষেত মডেল"। সুক্ষেত মডেলের উদ্দেশ্য হলো গ্রামে দূষণ কমানো। এর মাধ্যমে গ্রামের কৃষকদের থেকে গোবর এবং ক্ষেত ও ঘরবাড়ি থেকে পাওয়া অন্যান্য বর্জ্য একত্রিত করা হয়, এবং পরিবর্তে গ্রামবাসীদের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। যে বর্জ্য গ্রাম থেকে একত্রিত হয় তা দিয়ে ।
ভারমি কম্পোস্ট বানানোর কাজও হচ্ছে। অর্থাৎ সুখেত মডেলটির ৪টে লাভ তো সহজেই চোখে পড়ছে। প্রথমত গ্রামগুলির দূষণ থেকে মুক্তি, দ্বিতীয়ত গ্রামগুলির আবর্জনার থেকে মুক্তি, তৃতীয়ত গ্রামের মানুষদের রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য অর্থ সংস্থান, এবং চতুর্থত গ্রামের কৃষকদের জন্য জৈবিক সারের ব্যবস্থা। আপনারা ভাবুন, এই ধরণের প্রচেষ্টা আমাদের গ্রামগুলির শক্তি কতটা বাড়িয়ে দিতে পারে? এটাই তো আত্মনির্ভরতার বিষয়-বস্তু। আমি দেশের প্রত্যেক পঞ্চায়েত কে বলব তাঁদের নিজেদের এলাকাগুলিতেও এরকম কিছু করার কথা তাঁরা যেন নিশ্চই ভাবেন। এবং বন্ধুরা, আমরা যখন একটা লক্ষ্য নিয়ে বেরিয়ে পড়ি তখন ফল পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়।
এই যেমন আমাদের তামিল নাড়ুর শিবগঙ্গা জেলার কাঞ্জিরঙ্গাল পঞ্চায়েতের কথাই ধরুন। দেখুন এই ছোট্ট পঞ্চায়েতটি কি করেছে, এখানেও আপনারা ওয়েস্ট থেকে ওয়েলথ-এর আরেকটি মডেল দেখতে পাবেন। এখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করার একটি স্থানীয় প্রকল্প নিজেদের গ্রামে শুরু করেছে। পুরো গ্রামের আবর্জনা একত্রিত করা হয়, বিদ্যুৎ তৈরি হয় এবং বেঁচে যাওয়া অবশিষ্টাংশ কীটনাশক হিসেবে বিক্রিও করা হয়। গ্রামের এই পাওয়ার প্লান্ট প্রতিদিন দু টন আবর্জনা্র বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।
এর থেকে তৈরি বিদ্যুৎ গ্রামের পথবাতি জ্বালাতে এবং অন্য প্রয়োজনে ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে পঞ্চায়েতের টাকা তো বাঁচছেই, উপরন্তু সেই পয়সা অন্য উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখন আপনারা আমায় বলুন, তামিল নাড়ুর শিবগঙ্গা জেলার একটা ছোট্ট পঞ্চায়েত আমাদের প্রত্যেক দেশবাসীকে কিছু করার প্রেরণা দিচ্ছে কি দিচ্ছে না? এঁরা চমৎকার কাজ করেছেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, মন কি বাত এখন আর ভারতের সীমান্তের মধ্যে সীমিত নেই । পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মন কি বাত নিয়ে কথা হচ্ছে। এবং বিদেশের মাটিতে বসবাসকারী প্রচুর ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে বহু নতুন তথ্য দিয়ে থাকেন। এবং মন কি বাতে বিদেশে যেসব আশ্চর্য কার্যকলাপ চলছে সেগুলো আপনাদের সঙ্গে মাঝে-মাঝে শেয়ার করতে আমারও ভাল লাগে। আজকেও আমি আপনাদের সঙ্গে এরকম কিছু মানুষের পরিচয় করাব, কিন্তু তার আগে আমি আপনাদের একটা অডিও শোনাতে চাই। মন দিয়ে শুনুন।
বন্ধুরা, ভাষাটা তো আপনারা নিশ্চয় চিনে ফেলেছেন। এখানে রেডিওতে সংস্কৃতে কথা হচ্ছে এবং যিনি বলছেন তিনি আরজে গঙ্গা। আরজে গঙ্গা গুজরাতের রেডিও জকিস গ্রুপের একজন সদস্যা। ওঁর আরও বেশ কিছু সঙ্গী রয়েছেন যেমন আরজে নীলম, আরজে গুরু ও আরজে হেতল। এঁরা সবাই মিলে গুজরাতের কেবাড়িয়াতে বর্তমান সময়ে সংস্কৃতের মান উন্নত করার চেষ্টা করছেন। এবং আপনারা জানেন আমি যে জায়গার কথা বলছি সেই কেবাড়িয়াতেই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ স্ট্যাচু, আমাদের দেশের গর্ব স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, রয়েছে। আর এঁরা এমন সব রেডিও জকিস যারা এক সঙ্গে অনেকগুলি ভূমিকা পালন করেন। এঁরা গাইড হিসেবেও কাজ করেন, এবং তার সঙ্গে কমিউনিটি রেডিও ইনিশিয়েটিভ, রেডিও ইউনিটি ৯০ এফএম, তার সঞ্চালনাও করেন। এই আরজেরা তাঁদের শ্রোতাদের সঙ্গে সংস্কৃতে কথা বলেন, তাঁদের সংস্কৃতে খবরাখবর দেন।
বন্ধুরা, আমাদের এখানে সংস্কৃত সম্বন্ধে বলা হয়েছে-
অমৃতম সংস্কৃতম মিত্র, সরসম সরলম বচঃ
একতা মুলকম রাষ্ট্রে, জ্ঞান বিজ্ঞান পোষকম।
অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃত ভাষা সরস-ও, সরল-ও। সংস্কৃত নিজের চিন্তাভাবনা, নিজের সাহিত্যের মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং রাষ্ট্রের একতা বিকশিত করে ও মজবুত করে।
সংস্কৃত সাহিত্যে মানবতা ও জ্ঞানের এমন এক দিব্যদর্শন রয়েছে যা যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে। সম্প্রতি আমি এমন বেশ কিছু মানুষের ব্যপারে জানতে পেরেছি যারা বিদেশে সংস্কৃত পড়ানোর প্রেরণাদায়ক কাজ করছেন। এরকমি একজন ব্যক্তি শ্রী রাটগার কারটেনহোস্ট, যিনি আয়ারল্যান্ডের প্রখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত ও শিক্ষক। তিনি সেখানে বাচ্চাদের সংস্কৃত পড়ান। এদিকে আমাদের পূর্বে ভারত এবং থাইল্যান্ডের মাঝে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রেও সংস্কৃত ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডঃ চিরায়ত প্রপন্ডবিদ্যা ও ডঃ কুসুম রক্ষামণী, এই দুজন থাইল্যান্ডে সংস্কৃত ভাষার প্রচার প্রসারে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ওঁরা থাই এবং সংস্কৃত ভাষায় তুলনামূলক সাহিত্যও রচনা করেছেন। এরকম আরেকজন প্রফেসর আছেন, শ্রী বরিস জাখরিন, রাশিয়ার মস্কো স্টেট ইউনিভারসিটিতে ইনি সংস্কৃত পড়ান, তিনি বহু গবেষণপত্র এবং বই প্রকাশ করেছেন। তিনি বহু বই সংস্কৃত থেকে রুশ ভাষায় অনুবাদও করেছেন। ঠিক সেরকমই সিডনি সংস্কৃত স্কুল, অস্ট্রেলিয়ার সেই মুখ্য প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম যেখানে শিক্ষার্থীদের সংস্কৃত পড়ান হয়। এই স্কুলটি বাচ্চাদের জন্য সংস্কৃত গ্রামার ক্যাম্প, সংস্কৃত নাটক ও সংস্কৃত দিবসের মত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বন্ধুরা সম্প্রতি যে সব প্রচেষ্টা হয়েছে তাতে সংস্কৃত নিয়ে একটি নতুন সচেতনতাবোধ তৈরি হয়েছে। এখন সময় এসেছে এই পথে আমাদের আরও অগ্রসর হওয়ার। আমাদের ঐতিহ্যকে লালন করা, তার সুরক্ষা করা, নতুন প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া আমাদের সবার কর্তব্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তার ওপর অধিকারও রয়েছে। এখন সময় এসেছে এই সব কাজের জন্যও সবার প্রচেষ্টা আরও বাড়ুক।
বন্ধুরা যদি আপনি এই ধরনের প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত এমন কোন মানুষকে জানেন, এমন কোন খবর আপনাদের কাছে থাকে তাহলে দয়া করে #Celebrating Sanskrit -এর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে ওনার সম্পর্কে যা জানেন তা অবশ্যই জানান। আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বকর্মা জয়ন্তী আসছে । ভগবান বিশ্বকর্মাকে আমাদের এখানে সৃজনশীলতার প্রতীক হিসেবে মানা হয়। যে ব্যাক্তি নিজের দক্ষতায় কোন জিনিসের নির্মাণ করেন, সৃষ্টি করেন, সেটা সেলাই-ফোঁড়াই হোক, সফটওয়্যার হোক কিংবা কৃত্রিম উপগ্রহ, এ সবই ভগবান বিশ্বকর্মার মহিমা। পৃথিবীতে যতই দক্ষতার পরিচয় আজ নতুনভাবে হোক না কেন কিন্তু আমাদের ঋষিরা হাজার বছর ধরে স্কিল আর স্কেল সম্পর্কে বলে দিয়েছেন। ওনারাও স্কিলকে, কৌশলকে আস্থার সঙ্গে জুড়ে আমাদের জীবন দর্শনের অঙ্গ করে দিয়েছেন। আমাদের কিছু বৈদিক সুক্তও ভগবান বিশ্বকর্মাকে সমর্পণ করা হয়েছে। সৃষ্টির যত বড় রচনাই হোক, যত নতুন আর বড় কাজ হয়েছে আমাদের শাস্ত্রে তার কৃতিত্ব ভগবান বিশ্বকর্মাকেই দেওয়া হয়েছে। এটা একদিক দিয়ে এই ধারণার প্রতীক যে সংসারে যা কিছু উন্নয়ন আর উদ্ভাবন হচ্ছে তা দক্ষতার জন্যই হচ্ছে। ভগবান বিশ্বকর্মা জয়ন্তী আর তার পুজোর পেছনে এটাই কারণ। আমাদের শাস্ত্রে কথিত আছে বিশ্বস্য কৃতে য়স্য কর্মব্যাপারঃ সঃ বিশ্বকর্মা। অর্থাৎ যিনি সৃষ্টি আর নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সব কাজ করেন তিনিই বিশ্বকর্মা। আমাদের শাস্ত্র মতে নির্মাণ আর সৃজনের সঙ্গে যুক্ত যত দক্ষ ও প্রতিভাবান লোকজন আছেন তারা ভগবান বিশ্বকর্মার উত্তরাধিকারী। ওদের ছাড়া আমরা আমাদের জীবন কল্পনাও করতে পারি না। আপনারা ভেবে দেখুন আপনার ঘরে বিদ্যুতের কোনো সমস্যা হল আপনি কোন ইলেকট্রিশিয়ান পেলেন না, তাহলে কি হবে? আপনার সামনে কত বড় সমস্যা আসবে? আমাদের জীবন এমনই সব স্কিলড লোকদের জন্যই চলছে। আপনি আপনার চারিদিকে দেখুন লোহার কাজ করছেন যারা, মাটির বাসন তৈরি করছেন যারা, কাঠের জিনিস নির্মাণ করছেন যারা, বিদ্যুতের কাজ করছেন যারা, ঘরে রং করছেন যারা, সাফাই কর্মী যারা , মোবাইল ল্যাপটপ সারাচ্ছেন যারা, সবাইই তাদের দক্ষতার জন্যই পরিচিত। আধুনিক রুপে এরাও বিশ্বকর্মা। কিন্তু বন্ধুরা এর আরেকটা দিকও আছে যা মাঝে মাঝে আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে। যে দেশে, যার সংস্কৃতিতে, পরম্পরায় চিন্তায় কৌশলে দক্ষ মানব সম্পদকে ভগবান বিশ্বকর্মার সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি কিভাবে বদলে গেছে। একসময় আমাদের পারিবারিক জীবন। সামাজিক জীবন, রাষ্ট্র জীবনের ওপর দক্ষতার খুব বড় প্রভাব ছিল। কিন্তু দাসত্বের লম্বা কালখণ্ড পার করে এই ধরনের সম্মান দেওয়ার ভাবনা ধীরে ধীরে ভুলে গিয়েছি আমরা। আমাদের চিন্তা ভাবনাও এমন হয়েছে যে এই ধরনের কাজকে হীন চোখে দেখা হয়। আর আজ দেখুন গোটা পৃথিবী সবচেয়ে বেশি প্রতিভা ও দক্ষতার ওপরেই চলছে ।
ভগবান বিশ্বকর্মার পূজা শুধুমাত্র উপাচারের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবেনা। আমাদের প্রতিভা কে সম্মান দিতে হবে, প্রতিভাবান হয়ে ওঠার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। প্রতিভাবান হওয়ার জন্য গর্ব বোধ করতে হবে। যখন আমরা কিছু না কিছু নতুন করবো, কিছু উদ্ভাবন করবো, এমন কিছু সৃষ্টি করবো যাতে সমাজের উপকার হয় , মানুষের জীবন সহজ হয়, তখনই আমাদের বিশ্বকর্মা পূজা সার্থক হবে। আজ সারা দুনিয়াতে দক্ষ ব্যক্তি দের জন্যে সুযোগের অভাব নেই। দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েই প্রগতির একাধিক পথ খুলে যাচ্ছে আজ। তাহলে আসুন, এই বার আমরা ভগবান বিশ্বকর্মার পূজায় ভক্তির পাশাপাশি তাঁর দেওয়া বার্তাকেও নিজেদের সংকল্প হিসেবে গ্রহণ করি। আমাদের পূজার ধরণ এমনই হওয়া উচিত যে, আমরা দক্ষতার গুরুত্ব বুঝব। এবং দক্ষব্যক্তি দের, তাঁরা যে কাজই করুন না কেন, তাঁদের সম্পূর্ণভাবে সম্মান করবো।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর চলছে। এই বছরে আমাদের প্রতিদিন নতুন সংকল্প নিতে হবে, নতুন কিছু ভাবতে হবে, আর নতুন কিছু করার উদ্যম আরো বাড়াতে হবে। যখন আমাদের ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, তখন আমাদের এই উদ্যমই তার সাফল্যের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে সবার নজর কাড়বে। এই কারণেই আমরা কিছুতেই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে পারিনা। আমাদের যত বেশি সম্ভব এতে যোগদান করতে হবে। কিন্তু এই প্রচেষ্টাগুলির মাঝেই আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে - দাওয়াই ভি, কড়াই ভি। অর্থাৎ, টিকাকরণ ও, সতর্কতাও। দেশে ৬২ কোটিরও বেশি টিকাকারণ সম্পন্ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমাদের সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। আর হ্যাঁ, প্রত্যেকবারের মত, যখনই আপনি নতুন কিছু করবেন, নতুন ভাববেন, তখন অবশ্যই তাতে আমাকে সামিল করবেন। আমি আপনাদের চিঠি এবং মেসেজের অপেক্ষায় থাকবো। এই কামনার সঙ্গেই আপনাদের সবাইকে জানাই আগামী উৎসবের অনেক অভিনন্দন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।
Every medal is special.
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
When India won a Medal in Hockey, the nation rejoiced. And, Major Dhyan Chand Ji would have been so happy. #MannKiBaat pic.twitter.com/0pjtzwA11d
India’s youth wants to do something new and at a large scale. #MannKiBaat pic.twitter.com/3o48mp3uR7
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
PM @narendramodi applauds India’s Yuva Shakti during today’s #MannKiBaat. pic.twitter.com/lPer6vpY41
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
India’s space sector reforms have captured the imagination of the youth. #MannKiBaat pic.twitter.com/0rJ0pDQxAN
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
Ask any youngster what he or she wants to do and a common answer will be - start up.
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
The start up sector is very vibrant in India. #MannKiBaat pic.twitter.com/93xo006liM
India’s youth is giving emphasis to quality. #MannKiBaat pic.twitter.com/gVd7S4ItrG
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
India is cheering for our #Paralympics contingent.
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
At a larger level, there is renewed momentum towards sports across India.
Our fields must be full of players. #MannKiBaat pic.twitter.com/9Is8JBAr80
We recall the noble teachings of Bhagwan Shri Krishna. #MannKiBaat pic.twitter.com/0zrTxKbkXz
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
Hear an interesting interaction between PM @narendramodi and Jadurani Dasi Ji, who has done pioneering work in Bhakti Art. #MannKiBaat https://t.co/L0bzuAGXdP
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
Indian culture and spirituality are gaining popularity globally. #MannKiBaat pic.twitter.com/mq47I66mkz
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
Keeping the momentum towards furthering Swachhata. #MannKiBaat pic.twitter.com/9DUO1mq3iH
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
If you know about people who are doing commendable work to popularise Sanskrit, write about them on social media using #CelebratingSanskrit. #MannKiBaat pic.twitter.com/YsyvLWs67E
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
Paying homage to Bhagwan Vishwakarma. #MannKiBaat pic.twitter.com/tPGM8LWeaz
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021
Need of the hour is to give importance to skill development. #MannKiBaat pic.twitter.com/pezVk3Y3NU
— PMO India (@PMOIndia) August 29, 2021